ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায়
ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায় সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। অনেকেই হয়তো অনেক টাকা ইনকাম করে থাকেন কিন্তু কোন ভাবে কোন রকম সঞ্চয় করতে পারেন না কিভাবে যোগাবেন সেটাও বুঝে পান না।
তাহলে আপনার জন্যই আজকের এই পোস্টটি করা। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনি সকল বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায়।
পোস্ট সূচিপত্র : ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায়
১. ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায়
২. বাড়তি ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় করবেন যেভাবে
ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায়, বাড়তি ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় করবেন কিভাবে সেটি নিয়ে ভাবছেন, তাহলে কোন চিন্তা নাই আমার পোস্টটি পড়ুন। দিন দিন যেভাবে বাজার দর বাড়ছে এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেকেরই। কি অবস্থায় সঞ্জয় করাটা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ নিত্য নতুন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে অনেক টাকা ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এজন্য সবারই বাড়তি ব্যয় হয় সঞ্চয় করাটা খুবই কঠিন হয়।
কারণ জীবন যাপনের জন্য যতটা ব্যয় কমানো যাবে ততটাই সঞ্জয় বাড়তে থাকবে। অনেকেই আছেন যারা মাসে অনেক টাকা উপার্জন করেন কিন্তু তাদের কোন সঞ্চয় থাকে না। এটা ছাড়া ওটা ওটা করতে করতে সব টাকা ব্যয় হয়ে যায়। বাড়তি কাজগুলো না করলে সে টাকাগুলো খরচ না করলে ব্যয় না করলে সেই টাকাগুলো সঞ্চয় করা সম্ভব হবে।
এভাবে যদি আপনি আ এর মত সীমাবদ্ধ রেখে করতে পারেন তাহলে আপনি অবশ্যই সঞ্চয় করতে পারবেন। বাড়তি ব্যয় গুলো কমালে সঞ্চয় করা সম্ভব হবে। এভাবে আপনি ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় করতে পারেন।
৩. ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় করার সহজ উপায়
ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায় ? আপনি যদি অঢাল টাকার মালিক না হয়ে থাকেন। অথবা মাস শেষে টাকা নিয়ে টানাটানির মতো সমস্যায় যদি পড়ে থাকেন তাহলে জেনে নিতে পারেন ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় করার সহজ উপায় গুলো। সপ্তাহে অন্তত একটি দিন খরচ না করে কাটান। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন ছুটির দিনটাকে। এই দিনে বাড়িতে থাকা উপকরণে দিনটি অতিবাহিত করুন।
আবার প্রয়োজন ছাড়া কখনোই কিছু কিনবেন না। কেনাকাটার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় বর্জন করুন। সুপার শপে আরামে কেনাকাটা করা গেলেও সেখানে খরচ বেশি। তবে মূল্য ছাড়ের সুবিধা থাকলে কাজে লাগাতে পারেন। এমন জিনিস বেছে নিন যা বহুবার ব্যবহার করা যায়। যেমন টিস্যু পেপারের বিকল্প হিসেবে রুমাল।
আরো পড়ুন : প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করার ১০ টি উপায়
এমন কাপড় কিনুন যেটির রং পাকা তাছাড়া এমন জিনিস কোন যেগুলো পরবর্তী সময়ে আবার ব্যবহার করা যায়। জীবন যাপনের জন্য তো কিছু খরচ আপনাকে করতেই হবে এই খরচ করুন নগদ টাকায় অর্থাৎ কার্ডের ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। কার্ডে খরচ করলে বেহিসাবি হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কাজের জায়গায় খাবার কিনে না খেয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। বাড়ির খাবার দিয়ে পিকনিক ও করতে পারেন। এমন ভাবে ব্যয় কমিয়ে সঞ্চয় করতে থাকলে আপনি উপকৃত হবেন।
৪. বাড়তি ব্যয় কমানোর সহজ উপায়
উপার্জনের কিছু অংশ ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা খুবই জরুরী। বর্তমানে অর্ধ গতির বাজারে সঞ্চয় করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এক খাতে খরচ কমালে অন্য খাটে তা বেড়ে যায়। তাই দরকার একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা নিয়ে আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। মাসের খরচ কম বেশি সবারই নির্দিষ্ট থাকে। ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায় ?
যেমন বাড়িভাড়া, গ্যাসের বিল, আবার কিছু খরচ দেখা যায় এক এক মাসে এক এক রকম হয়। অনলাইন শপিং এর পেছনে অনেক সময় বাড়তি খরচ করে ফেলি। কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা সৌখিন খরচ খুঁজে বের করুন। মাসের শুরুতেই বাজেট অনুযায়ী টাকা আলাদা করে ফেলুন। বাইরে খাওয়ার রেস্টুরেন্টে খাওয়া এইসব খরচগুলো কমানোর চেষ্টা।
চেষ্টা করুন কিভাবে বিদ্যুৎ বিলের খরচটুকু কমাবেন। দিনে আলো জ্বালিয়ে রাখার প্রয়োজন ছাড়া এসি বা ফ্যান চালানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন। প্রতিদিন ওয়াশিং মেশিন চালানোর প্রয়োজন না পড়লে সপ্তাহে তিনদিন চালান। ক্রেডিট কার্ড পকেটে থাকলে এটা ওটা কেনাকাটা করা হয়ে যায় তাই কেনাকাটা করতে নগদ অর্থ ব্যবহার করুন। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেশি ঘোরাফেরা করবেন না কারণ যত বাইরে ঘোরাফেরা করবেন তত আপনার খরচ বাড়তে থাকবে। তাই বাইরে চলাফেরা করার কমাবেন। এমন ভাবে আপনার বাড়তি আয় কমানোর আপনি চেষ্টা করবেন।
৫. আয়ের কতটা সঞ্জয় করা উচিত
ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায় ? সাধারণত একজন মানুষের আয়ের কত শতাংশ সঞ্চয় করা উচিত তা নির্ভর করে, তার আয় এবং অবশ্যম্ভাবী উপর। অর্থনীতির সাধারণ হিসাব হচ্ছে একজন মানুষের আয়ের এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২০ - ২৫ শতাংশ অংশ যদি কেউ নিয়মিত সঞ্চয়ের অভ্যাস করতে পারেন, তাহলে অবসর পরবর্তী সময়ে অভাবের মধ্যে পড়তে হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, সমাজের প্রচলিত প্যাটার্ন হচ্ছে মধ্য আয়ের মানুষেরা বেশি সঞ্চয় করেন। এবং সম্পূর্ণ বিপরীত কারণে নিম্ন ও উচ্চ আয়ের মানুষের সঞ্চয় তুলনামূলক কম হয়। উচ্চ আয়ের মানুষের খরচ ও বিনিয়োগের হার বেশি বলে সঞ্চয় কম। আর নিম্ন আয়ের মানুষের দৈনন্দিন জীবন ধারণই একটা চ্যালেঞ্জ।
ব্যক্তির সঞ্চয়ের হার নির্ভর করে মানুষের আয় ও ব্যয়ের উঠা নামার উপর, ফলের বিশেষ কোন খাতের প্রদেয় সুযোগ-সুবিধার উপর হুট করে মানুষ সিদ্ধান্ত কম নেয়। এমন ভাবে যদি আয়ের উপর নির্ভর করে সঞ্জয় করতে থাকেন তাহলে আপনার সঞ্চয় জমা হতে থাকবে। এবং এটা দিন দিন বাড়তে থাকবে। এভাবেই আপনি আয়ের উপর নির্ভর করে সঞ্জয় করতে পারেন।
লেখকের মন্তব্য
ব্যয় কমিয়ে কিভাবে সঞ্চয় করা যায় সম্পর্কে আপনাদের সাথে এই পোস্টে সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর এই পোস্টটি পড়ে পেয়ে গেছেন। সকল প্রকার তথ্যভিত্তিক পোস্ট পেতে অল টপিক আইটিতে নিয়মিত ভিজিট করবেন। অল টপিক আইটি নির্ভুল এবং সঠিক তথ্য দিয়ে থাকে ধন্যবাদ।
অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।
comment url