ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাইছেন তাহলে অবশ্যই আপনি সঠিক পোস্টের মধ্যে এসেছেন। বর্তমানে অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খেয়ে আমাদের শরীরের ওজন পরিমাণের চেয়ে অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। 

ওজন-কমানোর-উপায়

এই ওজন কমানোর জন্য অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং এর কোন উপায় খুঁজে পাইনা। চিন্তার কোন কারণ নেই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়লে জানতে পারবেন ওজন কমানোর সকল উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্র : ওজন কমানোর উপায়

১. ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায় অনেকগুলো রয়েছে। যা আপনি সবগুলো উপায় অবলম্বন করতে পারবেন না। কিছু কিছু উপায় রয়েছে আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে আবার সহজ উপায়ও রয়েছে। তাই যার জন্য যে উপায় উপযুক্ত তাকে সেটি ব্যবহার করতে বলা হয়ে থাকে। প্রথমত ওজন কমানোর জন্য আমাদেরকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। 

এবং যে সকল খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে এ সকল খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি যে পদ্ধতিতে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন সেটি কমপক্ষে তিন মাস না করলে বুঝতে পারবেন না পার্থক্যটা। আপনার ওজন কমানোর চেষ্টায় দ্রুত সাফল্য আনবে এমন ৯টি অভ্যাস আজকের এই পোস্টে পেয়ে যাবেন। ওজন কমানোর সাথে সাথে এই অভ্যাসগুলো আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

২. ওজন কমাতে প্রতিদিন আধা লিটার পানি খাওয়া

ওজন কমানোর উপায় হল প্রতিদিনের খাবার কম করে খাওয়া। সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে আধা লিটার পানি খেয়ে নিতে পারেন। সেটাতে একটু পেট ভরা লাগবে, তখন কম নাস্তা খেলেও মনে হবে পেট ভরে গেছে। আর পানিতে কোন ক্যালরি নেই, ওজন বাড়ায় না। তাই নাস্তা খাওয়ার আগে কোন দুশ্চিন্তা ছাড়া আপনি আধা লিটার পানি খেয়ে নিতে পারেন। 

দিনের অন্যান্য বেলাতেও এই টেকনিকটা কাজে লাগাতে পারেন। খাওয়ার আগে আধা লিটার পানি খেয়ে তারপর খাওয়া শুরু করবেন। ফলে আপনি স্বাভাবিকভাবে যতটুকু খেতেন তার চেয়ে কম পরিমাণে খেলেও পেট ভরে যাবে। এবং সেটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। অনেকের ধারণা খাওয়ার আগে পানি খেতে নেই খেলেও সেটা কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে। এই পরামর্শে কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।

৩. দিনের নাস্তা ঠিক করে ফেলা

ওজন কমানোর উপায় এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল দিনের নাস্তা ঠিক করে ফেলা। আমাদের যখন ক্ষুদা লাগে অনেক সময় আমরা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে ফেলি। এই একটু সিঙ্গারা, পুরি, জিলাপি, বা কোক খেয়ে নিলাম। এগুলো যে খুব স্বাস্থ্যকর খাবার না সেটা প্রায় সবাই জানি। তাও লোভ সামলানো কঠিন হতে পারে, সকালেই যদি আপনি আপনার দিনের নাস্তাগুলোর কথা চিন্তা করে রাখেন। 

ক্ষুধা লাগলে কি খাবেন এটা যদি আগে থেকে ঠিক করে রাখেন। হয়তো একটা বক্সে ফোন কেটে সাথে নিয়ে নিলেন বা এক পকেট বাদাম সাথে রাখলেন, ঘরে তৈরি কোন স্বাস্থ্যকর খাবার ও হতে পারে, সকালে পরিকল্পনা করে রাখলে বা সাথে খাবার মত কিছু থাকলে হয়তো এই অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকর্ষণ ঠেকানো একটু সহজ হবে।

৪. সকালে হেঁটে হেঁটে কাজে বা স্কুলে যাওয়া

ওজন কমানোর জন্য সকালে হেটে হেটে কাজে বা স্কুলে যাওয়া হতে পারে আপনার জন্য ভালো একটি উপায়। সকালে যখন কাজে যাচ্ছেন বা বাচ্চাকে স্কুলে দিয়ে আসছেন, দেখেন হেঁটে যাওয়া যায় কিনা। বেশি দূরে হলে অল্প অল্প করে শুরু করুন। রিকশায় গেলে একটু আগে নেমে শেষ দশ মিনিট হেঁটে গেলেন। বাসে গেলে এক থেকে দুই স্টপ আগে নেমে বাকিটুকু হেঁটে গেলেন। 

ওজন-কমানোর-উপায়

গাড়ি ১০ মিনিট আগে কোথাও পার্ক করলেন, আস্তে আস্তে পরিমাণ বাড়াবেন। আর হাঁটার সময় দ্রুত হাঁটার চেষ্টা করবেন। এই যে এভাবে প্রতিদিনের কাজের মধ্যে যাতায়াতের মধ্যে যদি অল্প করে ব্যায়াম করতে পারেন, তাহলে নিয়মিত এই চর্চাটা থাকবে।

৫. ওজন কমাতে চিনি ছাড়া চা-কফি খাওয়া

সকালে যদি চা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে সেগুলো চিনি ছাড়া খাবার অভ্যাস করুন। চিনি থেকে খুব সহজেই বাড়তি গ্যালারি আসে, ওজন বেড়ে যায়। সুস্থ থাকার জন্য আলাদা করে চিনি খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। সেখান থেকে কোন বিশেষ পুষ্টি শরীর পাই না। তাই স্বাস্থ্য খাদ্য অভ্যাসে চিনি যতটুকু এড়িয়ে চলা সম্ভব ততটাই ভালো চা কফিতে চিনি খাওয়া কমিয়ে দিলে বা চিনি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিলে তা ওজন কমাতে অনেক সহায়ক হবে। 

আরো পড়ুন : কাঁচা হলুদ ও মধু খাওয়ার উপকারিতা


প্রথম প্রথম একটু খারাপ লাগবে কিন্তু আস্তে আস্তে দেখবেন চিনি ছাড়া চাই ভালো লাগছে। আবার চায়ের সাথে অনেকে বিস্কুট খান বিস্কুট খেতে মিষ্টি না হলেও সাধারণত এতে ভালো পরিমান চিনি দেয়া থাকে। অধিকাংশ বিস্কুটে অনেক পরিমাণ ক্যালারি থাকে।

৬. সকালে ওজন মাপা

ওজন কমানোর উপায় গুলো ঠিকমতো মেনে চলার পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে ওজন মাপা গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত ওজন মাপে তারা ওজন কমাতে বেশি সফল হয়। তাই সকালে উঠে আপনি আপনার ওজন মেপে ফেলতে পারেন। ওজন মাপার নিয়ম হচ্ছে সকালে বাথরুম সেরে খালি পেটে ওজন মাপা ওজন মাপা। 

চেষ্টা করবেন প্রতিদিন একই কাপড় পড়ে ওজন মাপার। ওজনটা তারপর একটা খাতায় বা ক্যালেন্ডার এ টুকিয়ে রাখতে পারেন। ফোনে অনেক অ্যাপ আছে, যেখানে ওজন গ্রাফ আকারে দেখায় সেগুলোতে তুলে রাখতে পারেন।

৭. ওজন কমাতে সকাল সকাল ব্যায়াম করা

ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। ওজন কমাতে হলে যে ব্যায়াম করতে হবে এটা আপনারা সকলেই জানেন। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় দিনের ব্যস্ততায় সেটা পেছাতে পেছাতে আর করা হয়ে ওঠেনা। কাল সকাল আপনি ব্যায়ামটা সেরে ফেলতে পারেন। সেটা যে কোন ধরনের ব্যায়াম হতে পারে। দড়ি লাভ, দ্রুত হাটা, দৌড়, উটবস ইত্যাদি। যেটা সুবিধা হয় এবং আপনার ভালো লাগে এমন ব্যায়াম বেছে নিয়ে সকাল সকাল ব্যায়াম করে ফেলেন। দিনের শুরুটা তখন খুব সুন্দর হবে।

৮. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো

সুস্থ থাকতে আমাদের যেমন প্রতিদিন খাদ্য দরকার, পানি দরকার, তেমনি ঘুম দরকার। আর ঘুম যে কেবল বিশ্রামের জন্য তা না। আমরা যখন ঘুমাই, আমাদের ব্রেন সচল থাকে এবং অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। তবে আপনার মনে হতে পারে ওজন কমানোর সাথে ঘুমানোর কি সম্পর্ক। সম্পর্ক আছে। অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে, যে কম ঘুমের সাথে অতিরিক্ত ওজনের একটা সম্পর্ক আছে। সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কম ঘুমালে খুদা বেশি লাগতে পারে, পরিমাণের বেশি খাওয়া হতে পারে। সাধারণত প্রাপ্ত বয়স্কদের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম পর্যন্ত।

৯. অ্যাকশন পয়েন্ট ঠিক করা

এখন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণার কথা বলি। অতিরিক্ত ওজনের ১০০ জন মানুষকে নিয়ে এই গবেষণাটা করা হয়। এই ১০০ জনকে দুই দলে ভাগ করা হয়েছিল। একদলকে বলা হয়েছিল প্রতিদিন সকালে ওজন মাপতে। আরেকদলকে ও সকালে ওজন মাপতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে বলা হয় ওজন মাপার পরে সেই দিনের জন্য একটা অ্যাকশন পয়েন্ট বা একটা কাজ ঠিক করতে যেটা ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

লেখকের মন্তব্য

ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে এই পোস্টে সকল বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গেছেন। অল টপিক আইটি ছটিক এবং নির্ভুল তথ্য দিয়ে থাকে। আশা করি আমাদের আইডির পোস্ট পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। আমাদের আইটির সকল তথ্যভিত্তিক পোস্ট পড়তে নিয়মিত ভিজিট করবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।

comment url