পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে ছিলেন
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে ছিলেন সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে ছিলেন, কি তার পরিচয় সকল বিষয়ে জানতে চাইলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে অবশ্যই বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে ছিলেন, কি তার পরিচয়?
পোস্ট সূচিপত্র : পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে ছিলেন
১. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে ছিলেন
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সা:)। মোহাম্মদ শব্দের অর্থই হলো প্রশংসিত। মুসলিমদের মতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর বার্তাবাহক। এবং অমুসলিমদের মতে তিনি ইসলামী ব্যবস্থার প্রবার্তক। ১৯৭৮ সালে সমকালীন ঐতিহাসিক ও গণিতবিদ মাইকেল হার্ট বিখ্যাত কয়েকজন ইতিহাসবিদ এবং জীবনী গ্রন্থের লেখকদের সহায়তায় একটি বই রচনা করেন।
তাদের এই বই রচনার উদ্দেশ্য ছিলো সর্বকালের সর্বজনীন 100 জন মনিবদের নিয়ে। অর্থাৎ যাদের কর্মের দ্বারা এই পৃথিবী সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল। এই তালিকা তৈরি করতে তারা ৩২ টি বিশেষ ক্যাটাগরি বা যোগ্যতার উপর করে। মাইকেল হার্টের নেতৃত্বে গবেষকগণ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে এই তালিকায় এক নম্বরে রাখতে বাধ্য হন। এই বিষয়ে কারো দ্বিমত পোষণ করার কারো শ্রাদ্ধ ছিল না।
কারণ সকল ক্যাটাগরিতে তিনি ছিলেন অবিসংবাদিত। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তার নিজের যোগ্যতা বলে এই অবস্থান অর্জন করে নিয়েছেন। মাইকেল হার্ট বলেছিলেন আমি একজন খ্রিস্টান হিসেবে এই তালিকায় সবার উপরে যিশু খ্রীষ্টকে রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বেশ কয়েকটি যোগ্যতার অভাবের কারণে তাকে তালিকায় এক নম্বরে চাহিদা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
কারণ যীশুখ্রীষ্ট কোন রাষ্ট্রনায়ক, শাসক বা যোদ্ধা ছিলেন না। এমনকি যিশু খ্রিস্টাব্দের কোন পরিবার বা সন্তান ও ছিলো না। সেজন্য মাইকেল হার্ট সহ তা সহযোগী সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হন পৃথিবীতে মোহাম্মদ (সাঃ) এর সমকক্ষ আর কেউ নেই। মাইকেল হার্ট আরো বলেন পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে আমি মোহাম্মদ (সাঃ) কে নির্বাচন করায় অনেকে অবাক হয়েছে।
কিন্তু সর্বকালের ইতিহাসে মোহাম্মদ (সাঃ) ই একমাত্র ব্যক্তি তিনি ধর্মীয় এবং ধর্মনিরপেক্ষ উভয় ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করেছেন। বিখ্যাত লেখক জর্জ বার্নাড শাহ মোহাম্মদ (সাঃ) কে মানবতার ত্রাণ কণ্ঠা আখ্যা দিয়ে বলেন তিনি যদি আধুনিক পৃথিবীর শাসন ক্ষমতা গ্রহণ করতেন তাহলে তিনি অবশ্যই সকল সমস্যার সমাধান করতে সফল হতেন। সেই জন্য আসতো পৃথিবীর জন্য অতি জরুরী সুখ শান্তি। এই সকল বিষয় দিক দিয়ে ধরে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব বলা হয়েছে। তিনিই ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব।
২. মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ও বংশ পরিচয়
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ও বংশ পরিচয় সম্পর্কে জানবো। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশ পরিচয় ইব্রাহিম (আঃ) এর দুই সন্তান ছিলেন, ইসমাইল ও ইসাহাক। ইসমাইলের মা ছিলেন বিবি হাজেরা এবং ইসাহাক এর মা ছিলেন হযরত বিবি সারা। ইব্রাহীম (আঃ) এর কনিষ্ঠ পুত্র হযরত ইসাহাক (আঃ) এর বংশধর বলো ইসরাইল। যাদের সর্বশেষ নবী ছিলেন হযরত ইসা (আঃ)।
অন্যদিকে হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর জ্যেষ্ঠ পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর বংশে একজন মাত্র নবী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। ফলে (আঃ) যেমন ছিলেন মানবজাতির আদি পিতা, নোহু (আঃ) ছিলেন মানবজাতির দ্বিতীয় পিতা তেমনি ইব্রাহিম (আঃ) ছিলেন পরবর্তী সকল নবী ও তাদের অনুসারী সকল মদ্দের পিতা।
কুরআন মজিদের ২৫ জন নবীর মধ্যে আদম, নোহ, ইদ্রিস ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বাদে বাকি ২১ জন নবী ছিলেন হযরত ইসরাইল। এবং একমাত্র মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন দরুন ইসমাইল। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) জন্ম ও মৃত্যুর তারিখ নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও তার জন্মের বার নিয়ে কোন মোতাভেদ নেই। রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) দশম হস্তভেদ অনুসারে ৯ রবিউল আউয়াল রোজ রবিবার মক্কায় কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন : রাসুল (সাঃ) এর ৭টি অভ্যাস
এবং ১১ হিজড়ের সনে ১২ ই রবিউল আওয়াল সোমবার সকাল ৯ টা থেকে ১০ টার দিকে চন্দ্র বরষে হিসেবে ৬৩ বছর ৪ দিন বয়সে মদিনায় মৃত্যুবরণ করেন। সৌর বর্ষ হিসেবে জন্ম ৫৭১ খ্রিস্টাব্দে ২২শে এপ্রিল সোমবার এবং মৃত্যু ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে ৬ই জুন সোমবার বয়স ৬১ বছর ১ মাস ১৪ দিন এবং সেই সম্পর্কে সঠিক হিসাব আল্লাহ সুবহানু তায়ালা যানেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কুরাইশ বংশের শ্রেষ্ঠ শাখা হাসেমি গোত্রের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল আব্দুল্লাহ। মাতার নাম আমেনা। দাদার নাম আব্দুল মুত্তালিব, দাদীর নাম ফাতেমা। নানার নাম ওহাব।মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম ও বংশ পরিচয় এগুলোই।
৩. মহানবী (সাঃ) এর সন্তানদের নাম ও পরিচয়
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী (সাঃ) এর সন্তানদের নাম ও পরিচয়। তাদের নাম ও পরিচয় হয়তো অনেকেই জানেন না। সবকিছু জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পন্ন পড়তে থাকুন।
কাসিম-যার অর্থ বন্টনকারি। কাসিম ইবনে মোহাম্মদ। তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও মা খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর প্রথম সন্তান। কাসিম ইবনে মোহাম্মদ এর দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগে পূর্বেই তিনি মারা যান। এবং তাকে সৌদি আরবের মক্কায় জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তাহির-যার অর্থ পবিত্র বা বিশুদ্ধ। আব্দুল্লাহ ইবনে মোহাম্মদ।
মোহাম্মদ (সাঃ) ও উম্মুল মুমিনিন খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর ছেলে সন্তান। তিনি শৈশবেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তাহির ইবনে মুহাম্মদ ও তায়্যিব ইবনে মোহাম্মদ নামেও পরিচিত ছিলেন। তায়্যিব শব্দের অর্থ হচ্ছে মিষ্টি। ইব্রাহিম যার অর্থ পিতাদের পিতা। ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ। তিনি ছিলেন রাসুল (সাঃ) ও উম্মুল মুমিনিন মারিয়া আলম কিবতিয়া (রাঃ) এর পুত্র সন্তান।
তিনি হিজরি ৮ম দিকের শেষ দিকে জন্মগ্রহণ করেন। এবং তাঁবুক যুদ্ধের পর ১৬ বা ১৮ মাস বয়সে মারা যান। তাকে মদিনায় জান্নাতুল বাকিতে সমাহিত করা হয়। জয়নাব অর্থ একটি সুগন্ধি ফুল। জয়নাব বিনতে মোহাম্মদ। তিনি ছিলেন রাসুল সাঃ ও খাদিজা কোবরা রাঃ এ জ্যৈষ্ঠ্য কন্যা সন্তান। তিনি মা খাদিজা রাঃ বিবাহের পঞ্চম বছরের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ৩০ বছর বয়সে ৮ম হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন।
মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করে মদিনায় হিজরতের সময় হাব্বার ইবনে আল আসওয়াদ দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে তার গর্ভপাত ঘটে রক্ত ঝরে। দীর্ঘদিন ধরে রোগে ভোগতে থাকার পর অবশেষে অষ্টম হিজরির প্রথম দিকে মৃত্যু বরণ করেন। উম্মে আয়মান রাঃ, উম্মু আতিয়া রাঃ উম্মুল মুমিনীন সাওদা রাঃ সালামাহো রাঃ, জয়নবের গোসলের কাজে অংশগ্রহণ করেন।
এবং স্বয়ং রাসূল সাঃ জয়নবের জানাজায় নামাজ পড়ান। এ সময় মোহাম্মদ সাঃ নিজ হাতে নিজের মেয়েকে কবরের মাটিতে শায়িত করেন। এবং নিজের ব্যবহৃত একটি লুঙ্গি প্রতীক হিসেবে জয়নবের কাফনের কাপড়ের মধ্যে গুঁজে দেন। রাসূল সাঃ এই সমস্ত ঘটনাকে স্মৃতিচারণ করে প্রায় সময় বলতেন, আমার সবচেয়ে ভালো মেয়েটি আমার জন্য কষ্ট ভোগ করেছে। রুকাইয়া অর্থ উন্নতশীল।
রুকাইয়া বিনতে মুহাম্মদ। তিনি ছিলেন মোহাম্মদ সাঃ ও উম্মুল মুমিনিন খাদিজাতুল কোবরা রাঃ এর মেয়ে। তিনি রাসুল সাঃ এর নবুওয়াত লাভের সাত বছর আগে মক্কাতে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি প্রথম উদ্বাহ ইবনে আবু লাহাবকে বিয়ে করেন কিন্তু তিনি ইসলাম গ্রহণের পরে তালাকপ্রাপ্ত হন। এরপর তিনি ওসমান ইবনে আফফানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রুকাইয়া খুবই রূপ লাবণ্যের অধিকারী ছিলেন।
রুকাইয়া ছিলেন স্বামীর প্রতি যত্নবান একজন মহিলা ও নিজের স্বামীর সংসারে সে ছিলেন আন্তরিক। উম্মে কুলসুম যার অর্থ স্বাস্থ্যবানের মা। উম্মে কুলসুম বিনতে মোহাম্মদ। উম্মে কুলসুম ছিলেন মোহাম্মদ সঃ ও স্ত্রী খাদিজা কোবরা রাঃ এর তৃতীয় কন্যা। রাসূল সাঃ নবুওয়াত লাভের ৬ বছর পড়বে উম্মে কুলসুমের মক্কাতে জন্ম হয়। এবং তার বোন রুকাইয়া বিনতে মোহাম্মদ হিজরির দ্বিতীয় সনে মারা যাওয়ার পর রাসূল সা: পুনরায় ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রাঃ এর সাথে উম্মে কুলসুমকে বিয়ে দেন।
ফাতিমাহ যার অর্থ দুধ ছাড়ানো শিশুর মা। সৈয়দা ফাতিমাহ বিনতে মোহাম্মদ। তিনি ছিলেন মোহাম্মদ সাঃ ও রাসুলের প্রথম স্ত্রী মা খাদিজার কন্যা। ইসলামের ফাতেমা রাঃ এর মান ও মর্যাদা অনেক। মক্কার কুরাইশরা যখন রাসূল সাঃ কে নির্যাতন করতো, কষ্ট দিতো, সে দূরদশার সময় ফাতেমা সব সময় রাসূলের পাশে ছিলেন। মদিনায় হিজরতের পর রাসুল সাঃ ফাতেমা রাঃ কে তার চাচাতো ভাই আলে ইবনে আবু তালিব রাঃ এর সাথে বিবাহ দেন। এছাড়াও তিনি ইমাম হাসান ও ইমাম হুসাইনের মা।
৪. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কয়টা বিয়ে করেছিলেন
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ১১ টা বিয়ে করেছিলেন। তার ১১ টি ছিল স্ত্রী এবং দুইটি ছিল দাসী। সেই বউগুলো হলো :
১. খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ
২. সাওদা বিনতে যামআ
৩. আয়েশা বিনতে আবু বকর
৪. যয়নাব বিনতে খুয়ায়মা
৫. হাফসা বিনতে ওমর বিন খিওাব
৬. যয়নাব বিনতে জাহাশ
৭. উম্মু সালমা বিনতে আবি উমাইয়া
৮. জুআইরিয়া বিনতে হারেছ
৯. ছাফিয়া বিনতে হুওয়াই বিন আখতাব
১০. মাইমুনা বিনতে হারেছ
১১. উম্মে হাবিবা রামলা বিনতে আবী সুফিয়ান।
এই সবগুলো হলো হযরত মুহাম্মদ সঃ এর বিয়ে করা বউ। এই বিয়ে গুলো করার বিশেষ কিছু কারণ ছিলো। সে কারণেই হযরত মুহাম্মদ সাঃ এতগুলো বিয়ে করেছিলেন।
৫. রাসূল সাঃ এর গুরুত্বপূর্ণ ২০ টি সুন্নত
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব রাসূল সাঃ এর গুরুত্বপূর্ণ ২০ টি সুন্নত। মুসলমানের পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে সুন্নতের গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের প্রতিটি অধ্যায় সুন্দর ও সৌরভমময় করতে হজরত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ৬৩ বছরের বণ্যাঢ্য উম্মতকে দিয়েছেন সুন্দর ও উজ্জ্বলমডয় পথনির্দেশ। যা আমাদের নিকট সুন্নত নামে সুপরিচিত। হযরত রাসূল সাঃ এক হাদিসে ইরশাদ করেন। যে আমার সুন্নাতকে জীবিত করলো, সে আমাকে ভালোবাসলো।রাসূল সাঃ এর গুরুত্বপূর্ণ ২০ টি সুন্নত হলো :
১. মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভেজা।
২. বৃষ্টির সময় দোয়া করা।
৩. রাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নির্জনে হাঁটা।
৪. স্ত্রীর রান্না করা হালাল খাবারে দোষ না ধরা। খেতে মন না চাইলেও চুপ করে থাকা।
৫. কোন কিছু যানা না থাকলে স্বীকার করা যে, আমি জানি না।
৬. মাঝেমধ্যে বিপদে আকাশের দিকে মাথা তোলা। আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্ট গুলোকে আল্লাহর কাছে বলা।
৭. খুব খুশি হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়া।
৮. ধোয়া ওঠা গরম খাবার ঠান্ডা হওয়া না পর্যন্ত না খাওয়া।
৯. শুধ বিহীন রিন দেওয়া।
১০. নফল ও সুন্নত নামাজ গুলো ঘরে পড়া।
১১. বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাসাতে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা।
১২. দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুতা না পরি, বিশেষ করে শো জাতীয় জুতা।
১৩. যতই ভালো খাবার হোক, ভরা পেটে না খাওয়া।
১৪. ফজরের নামাজের পর নামাজের স্থানে বসে তাজবি পাঠ করা। অতঃপর সূর্য উঠার পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা।
১৫. দিনের দাওয়াত সহজ করার উদ্দেশ্যে নতুন একটি ভাষা শেখা।
১৬. বাড়িতে ওযু করে রুমাল দিয়ে হাত-পা মুছে মসজিদে জামাতে যাওয়া।
১৭. মানুষের মাঝে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া।
১৮. রাতে ওযু অবস্থায় ঘুমানো।
১৯. মাঝেমধ্যে খালি পায়ে হাঁটা।
২০. মৃত্যুর আগেই সম্পদ সন্তান - সন্ততির ব্যাপারে অসিয়িত লিখে যাওয়া।
লেখকের মন্তব্য
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব কে ছিলেন এবং তার পরিচয় তার সন্তানদের নাম কি, তার সকল সুন্নত সমূহ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন। এছাড়াও এই পোস্টে অনেক কিছু আলোচনা করেছি যা আপনারা অনেকেই অনেক কিছু যানেন না। আজকের এই পোস্টটি পড়লে জানতে পারবেন। আপনাদের জানার জন্য এই পোস্টটি করা। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। এমন আরো নতুন নতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।
অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।
comment url