দৈনিক কত গ্লাস পানি খাওয়া উচিত
দৈনিক কত গ্লাস পানি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন। পানির অপর নাম জীবন। তাই বেঁচে থাকতে হলে পানি পান করা অবশ্যই জরুরি। পানি পান করলে দেহের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
এছাড়াও দেহের পানি শূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কত গ্লাস পানি পান করা উচিত বা পানি খাওয়ার উপকারিতা কোন সময় খাবেন কিভাবে খাবেন সকল বিষয়ে আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। সম্পূর্ণ পোস্টটি করলে আপনি সকল বিষয় বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্র : দৈনিক কত গ্লাস পানি খাওয়া উচিত
১. প্রতিদিন কত গ্লাস পানি খাওয়া উচিত
পানির অপর নাম জীবন। আমাদের শরীরে ৬০ শতাংশ পানি। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে কম পক্ষে তিনি লিটার পানি পান করা উচিত। আমরা যখনই তৃষ্ণার্ত বোধ করি তখনই পানি পান করি। সঠিক সময় সঠিক পরিমাণ পানি পান না করিলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সঠিক পরিমাণ পানি পান করলে আমাদের কোষগুলোকে শক্তিশালী করে।
দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। তার সাথে শরীর দুর্বল অনুভব হতে পারে। আপনার প্রসব যদি হলুদ হয় তাহলে আপনার শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু পানির ভার সাম্যহীন থাকার পরে যদি পানি অতিরিক্ত পরিমাণে পান করেন তাহলে আরো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে এই পানির অভাবে।
তাই আমাদের উচিত প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা। আবার এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে ও পান করা যাবে না। তাহলে অনেক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। সারাদিনরাত মিলে আপনি ৩ লিটার পানি পান করতে পারেন।
২. প্রাপ্তবয়স্কদের কত ক্লাস পানি পান করা উচিত
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিদিন কত ক্লাস পানি পান করা প্রয়োজন এটি হলো বডি ওয়েটের সাথে ২৫ বছরের বা প্রাপ্তবয়স্ক একটা মানুষের ক্ষেত্রে এটি হলো অ্যাডাট। তাদের ক্ষেত্রে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি এটেন্ড করবে। যদি কোনো কারণে সে হাই এন্টেন্সি, এক্সারসাইজ করে, পেমিয়েন্ট করে, সাইকেল চালাই যদি কোন কিছু এমন হয় তাহলে আরো ৫০০ থেকে ৬০০ ইমেল পানি তার খাবারের সাথে যোগ করতে হবে।
অর্থাৎ প্রতিদিন সে এই পরিমাণে পানি পান করতে পারবে। আওয়ারলে যদি আমরা গ্লাস করে পানি পান করি তাহলে অটোমেটিকাল এ তিন লিটার পানি পান করা হয়ে যায়। খেয়াল করবেন যে পরিমাণ পানি ইনটেক করছেন পানির ইনটেক বা আউটপুটটা ঠিক আছে কিনা এটাও আপনাকে একটু খেয়াল করতে হবে। অনেক সময় আছে যে আপনি ইনটেক করছেন আউটপুট কম করছেন। অনেক সময় ঘেমে যায় মানুষ এই ঘামের ভিতর দিয়ে কিন্তু মানুষের শরীর থেকে অনেকটা পানি বের হয়ে যায়। এজন্য তাদের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা।
৩. পানি কখন খাওয়া ভালো
শোয়ার ঠিক আগে পানি পান করা উচিত নয়। আপনার যদি ঘুমানোর আগে পানি পান করার অভ্যাস থাকে তাহলে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে পানি পান করুন। ঘুম থেকে উঠেই পানি পান করুন। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করলে দেহের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। খাবারের আগে পানি পান নয়, তবে খাবার আগে অল্প পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। তৃষ্ণা না পেলে পানি পান করা উচিত নয়।
আপনারা যদি ব্যায়াম করে থাকেন তাহলে ব্যায়াম করার পরে পানি পান করতে পারেন। শরীর চর্চা করার ঘামের সাথে অনেক পরিমাণ মিনারেল বেরিয়ে যাই। সেই পানির ঘাটতি টা মেটাতে অনেক পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পানি পান জরুরি। কোন ধরনের সংক্রমনের আশঙ্কা দেখলে বা তেমন কিছু হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে বা তার থেকে একটু বেশি পরিমাণে পানি পান করতে পারেন। দিনের ভিতর কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করা উচিত। এই সময়গুলোতে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে পারেন।
৪. রাতে ঘুমানোর আগে পানি খেলে কি হয়
রাতে ঘুমানোর আগে পানি পান রাতে বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার কারণ হতে পারে। নিউইয়র্কের পুষ্টিবিদ বলেন রাতে ঘুমাতে যাওয়া তিন ঘন্টা আগে থেকেই পানি পান করা কিছুটা কমানো উচিত। এতে করে শরীরকে প্রক্রিয়াজাত করতে সুযোগ পাই। ফলে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করা দীপক বাড়াতে সহযোগিতা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ বলেন, বিপাক বাড়ানোর সহজ উপায় হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে ২০ থেকে ৩০ আউন্স পানি পান করা। কারণ রাতে ঘুমানোর মাধ্যমে দীর্ঘ সময় আমাদের শরীল পানি শূন্যতা থাকে। এতে করে বিপাক ধির হয়ে যায়। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছু খাবার আগে পানি পান করলে বিপাক ক্রিয়া সহজ ভাবে কাজ করা শুরু করে।
আরো পড়ুন : প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা জানুন
দিনের বেলায় পানিগুলো পান করলে সেটি করতে সাহায্য করে। আর রাতের বেলায় পানি পান করলে সেটিও শরীরের জন্য ভালো বিভিন্ন ধরনের যেইসব ঘাটতিগুলো রয়েছে সেসব ঘাটতি গুলো পূরণ করতে সাহায্য করে। আমাদের শরীরে সবসময় জন্য পানি প্রয়োজন সেটি রাতে হোক দিনে হোক বা যেকোনো সময় হোক না কেন। পানশূন্যতা দূর করতে বেশি বেশি করে পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি।
৫. খালি পেটে পানি পান করার উপকারিতা
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি পান করুন এতে শরীরে শক্তি পাবেন। পায়খানা ক্লিয়ার হচ্ছে না? তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করুন পেট ক্লিয়ার হবে। আজমে সমস্যা তাহলে সকালে খালি পেটে পানি পান করুন ঠিক হয়ে যাবে। মাথা ব্যথা কোনভাবেই সাথে না তাহলে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করুন পুরো দিন ভালো যাবে। এছাড়া আরও বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাবেন। যেমন ,
- উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কমে।
- দাঁত ব্রাশ না করে খালি পেটে পানি পান স্বাস্থ্যকর ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়।
- শরীরের ওজন কমে।
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
- মুখের ঘা নিরাময়ের সাহায্য করে।
- কিডনির সমস্যা ও বাতের ব্যথা কমে।
- বমি বমি ভাব, গলার সমস্যা, ও মাইগ্রেনের সমস্যা ও কমে।
- ক্যালোরি কমে।
- স্মরণশক্তি বাড়ে।
- দূষিত পদার্থ বের হয়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
- তাৎক্ষণিকভাবে শরীরের শক্তি মাথায় বেড়ে যায়।
- ক্লান্তি দূর করে, এছাড়াও শরীরে পানি শূন্যতা দূর করতে পানি অনেক উপকার করে থাকে।
অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।
comment url