মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন কিন্তু আপনি কোনভাবেই জানতে পারছেন না বা মোটা হতে পারছেন না। তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য। এ প্রশ্নের মাধ্যমে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে বুঝতে পারবেন মোটা হওয়ার উপায় কি। সঠিক খাবার পর্যন্ত খুব সঠিক নিয়ম মেনে চললে আপনি অবশ্যই মোটা হতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্র : মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন
মোটা হওয়ার উপায়
মোটা হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। এর জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। এবং যে সব খাবার খেলে ওজন কমে যাবে সেই সব খাবার গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। শরীরের জন্য মেটার লিজাম কমানো উচিত। নিজেকে সব সময় স্টেজ মুক্ত রাখতে হবে। পর্যন্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত খাবার বা যতটুকু পরিমাণে খেতেন তার থেকে বেশি বেশি খেতে হবে। বেশি কাজ কাম করা যাবে না।
বেশি বেশি করে পানি পান করতে হবে। ফাস্টফুড খাবারগুলা বেশি বেশি করে খেতে হবে। মিষ্টি বা চিনি বেশি বেশি খেতে হবে। আগে যতটুকু ভাত খেতেন তার থেকে বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। মোটা হতে হলে শাকসবজি ও ফলমূল বেশি বেশি করে খেতে হবে। এছাড়াও আরো অনেক উপায় রয়েছে মোটা হওয়ার। শুধু যে বেশি খেলে মোটা হবে তা কিন্তু নয়। পর্যাপ্ত ঘুম পর্যন্ত বিশ্রাম, ব্যায়াম সবকিছুই লাগে। তাই চেষ্টা করবেন নিয়মিত নিয়ম মেনে সব কিছু করার।
মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা
মোটা হওয়ার অনেক রকমের খাদ্য তালিকা রয়েছে। মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকার মধ্যে জানতে হবে নাস্তায় কি খাবেন, দুপুরে কি খাবেন, রাতে কি খাবেন সকল বিষয়ে। প্রথমেই ঘুম থেকে উঠেই থাকবে সকালের নাস্তা। ওজন বাড়ানোর জন্য যে খাবারগুলো খেতে পারেন তার তালিকা নিতে দেওয়া হলো:
সকালের নাস্তা
দুধ, কলা, ডিমও খেজুর। আমাদের শরীরের যত ধরনের পুষ্টি দরকার তার প্রায় সবগুলোই দুধে পাওয়া যায়। প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে যা আমাদের হাড়গোড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। গলায় ভিটামিন বি ৬ আছে যা প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করে। অনেক পরিমাণে ফাইবার আছে যা আমাদের হজ হবে সাহায্য করে। ডিমকে অনেকেই বলে প্রাকৃতিক মাল্টিভিটামিন। ডিমে ভিটামিন এ আছে যা আমাদের চোখে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। খেজুর একটা অসাধারণ ফল। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম আছে যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। খেজুরের পুষ্টিগুণ অসাধারণ।
আরো পড়ুন : ফলমূল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবার এ ডাল রাখতে পারেন। ডাল খুবই পুষ্টিকর খাবার। ডালে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আছে। এছাড়া মাংস, মাছ, মাছের তেল ইত্যাদি খাবেন। এরপর দুপুরের খাওয়া শেষে এক বাটি টক দই খেতে পারেন।
রাতের খাবার
রাতে খাবার শেষ করে কয়েকটা কিসমিস, একটা ডিম, এক গ্লাস দুধ খেয়ে নিতে পারেন। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে আপনি খুব সহজে মোটা হতে পারবেন। এবং আপনার শরীরে অনেক পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করবে।
মোটা হওয়ার ভিটামিন ওষুধ
মোটা হতে খাবারের পাশাপাশি আপনি ওষুধ ও খেতে পারেন। শুধু খাবার খেলে যদি মোটা না হন তাহলে ওষুধ খাওয়া শুরু করে দেন। মোটা হওয়ার ভিটামিন ওষুধের নাম হলো, মরিঙ্গা। এই ভিটামিনটি অনেক ভালো কাজ করে ওজন বৃদ্ধিতে। এই মরিঙ্গা প্রতিটি ক্যাপসুলে রয়েছে অনেক পুষ্টি ও ভিটামিন। যারা পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন বা মোটা হতে পারছেন না।
বায়সের তুলনায় নিজেকে খুব ছোট বা রোগা লাগে। এই সব কিছু নিয়ে অনেকদিন যাবত ঘুরে বেড়াচ্ছেন বাজারে অনেক কোন কাজ হচ্ছে না। অনেকেরই এইসব কারণে শরীরে অনেক ধরনের রোগ বালাই বাসা বেঁধেছে। অথবা কোন ওষুধ খেয়ে কিছুদিনের জন্য মোটা হয়েও আবার সেই আগের জায়গায় ফিরে যাচ্ছেন বা স্থায়ী হচ্ছে না।
ঠিক এইসব মানুষের জন্য অত্যন্ত ভালো একটি ভিটামিন ওষুধ মরিঙ্গা। এটি আপনি একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। অনেক ভালো কাজ করে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন, মিনারেল এবং এমাইনো এসিড সমৃদ্ধ এই ভিটামিন ওষুধটি।
মোটা হওয়ার ব্যায়াম
মোটা হওয়ার জন্য বা শরীরে একটা সুন্দর ভাব আনার জন্য ব্যায়াম করা অনেক ভালো। ব্যায়াম করার ফলে আপনার শরীরের ওজন বেড়ে যাবে এবং সেটি ধরে রাখতে সাহায্য করবে। ভালো খাবার খাওয়া যেমন দরকার তার থেকেও বেশি দরকার ব্যায়াম করা। ডায়েট আপনাকে ওজন বাড়ানোই সাহায্য করে ঠিকই কিন্তু ব্যায়াম আপনার বডি বড় করে আপনার বডিকে একটা সেফে আনে।
যেখানে কিছু ব্যায়াম এমন হয় যেটি করলে আপনার ওজন আপনার সুন্দর বডি খুব দ্রুত তৈরি হয়ে যায়। শরীরে রোগা পাতলা ভাব দূর করে। ওজন ও দ্রুত কমাতে সাহায্য করে। যে সকল ব্যায়াম গুলো আপনি করতে পারেন। পুশ আপ, পুলআপ ইত্যাদি এইসব ব্যায়াম গুলো আপনি করতে পারেন। এই ব্যায়ামগুলো করার পর আপনি আপনার শরীরে পরিবর্তন অংশ দেখতে পাবেন। এবং উপকারও পাবেন। খাবারের পাশাপাশি ব্যাগটা করা অনেক প্রয়োজন। এছাড়া ব্যাম আমাদের শরীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখে ভালো রাখে।
মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায়
রোগা হওয়া যেমন কঠিন। আবার মোটা হওয়াও খুব সহজ নয়। দুটোই কিন্তু কষ্টের কাজ এইজন্য পরিবর্তন মানুষের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হলে আন্ডার ওয়েট সমস্যায় ভুগতে হয়। এই ক্ষেত্রে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই কখনো মোটা হওয়াও জরুরি। ঘরোয়া উপায়ে আপনি খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন।
শরীর ঠিক রাখতে ঘুম খুবই প্রয়োজন প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে হবে। এছাড়াও ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন নিয়ম করে ইয়োগা বা যোগাসন করুন। এটা আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। ঘুমানোর আগে দুধ মধু খান। গোপনের আগে এমন কিছু খেতে পারেন যা বেশি পুষ্টিকর ও ক্যালরিযুক্ত। কারন সেটা ঘুমিয়ে পড়ছেন বলে খরচ হচ্ছে না এবং পুরো রাত আপনার শরীরের ক্যালরির কাজ করবে এবং ওজন বৃদ্ধি হতে সাহায্য করবে।
তাই প্রতিদিন ঘুমানোর আগে দুধ ও মধু মিশিয়ে খান। এটি ওজন বৃদ্ধিতে পরীক্ষিত এবং মোটা হওয়ার সহজ উপায়। ওজন বৃদ্ধি করতে শুধুমাত্র ক্যালোরি যথেষ্ট নয় প্রোটিন ও গ্রহণ করতে হবে। তাই ঘরোয়া এমন কিছু উপায় আছে যেগুলো করলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে বা আপনি মোটা হতে পারবেন।
অতিরিক্ত মোটা হওয়ায় ক্ষতিকার দিক
অতিরিক্ত মোটা হওয়াও ক্ষতির কারণ হতে পারে। আপনি মোটা হচ্ছেন এতে সমস্যা নেই। কিন্তু সেটা পর্যন্ত পরিমাণে হওয়া উচিত। অযথা পরিমাণে মোটা না হলে। আপনার শরীরে অনেক রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ওজন পেটে চর্বি জমা এইসবের জন্য আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে। মোটা হওয়ার জন্য মানুষ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবন করে থাকে। সেগুলো শরীরের অনেক ক্ষতি করতে পারে।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। অতিরিক্ত ওজনের ফলে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাড়তি ওজনের ফলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। অতিরিক্ত মোটা হওয়ার ফলে উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে না। মোটা হওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থাকে। তাই নিয়ম মেনে সব কিছু করা উচিত অতিরিক্ত মোটা হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। এতে আপনার অজানা অনেক ক্ষতি হতে পারে।
অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।
comment url