মুখে নিম পাতা ব্যবহার করার ৭ টি সুফল
মুখে নিম পাতা ব্যবহার করার ভালো দিক সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা মুখে নিম পাতা ব্যবহারের দিনগুলো আলোচনা করবো। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে পারেন।
তাহলে বুঝতে পারবেন মুখে নিম পাতা ব্যবহারের সুফল গুলো কি কি এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক মুখে নিমপাতা ব্যবহারের সুফল গুলো কি ?
পোস্ট সূচিপত্র : মুখে নিম পাতা ব্যবহার করার ৭ টি সুফল
মুখে নিম পাতার ব্যবহার
মুখে বিভিন্নভাবে নিম পাতা ব্যবহার করা যায়। বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও নিমপাতা তাকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। মিম হল বহু উপকারী বিশিষ্ট একটি ঔষধ। এটি ব্যবহারের ফলে মুখের যত ব্রণ এলার্জি চুলকানির সবকিছু ঠিক করে দেয় নিমিষেই। নিমের ফেসপ্যাক বানিয়েও মুখে লাগাতে পারেন।
আরো পড়ুন : আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস
আবার নিম পাতা শিলপাটায় বেটে মুখে ব্যবহার করতে পারেন। মুখে নিম পাতা ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বিভিন্ন ধরনের দাগ দূর করে নিম পাতা। নিম পাতাও হলুদ বিষে লাগালে চুলকানি চলে যায়। নিয়মিত নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। নিম পাতার বা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁতে হবে মজবুত ও ঝকঝকে। মুখে নিম পাতা ব্যবহার করলেই পাবেন দারুন উপকার।
ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার
ব্রণ দূর করতে নিম পাতা অনেক উপকারী। এটি মুখের ব্রণ দূর করতে জাদুর মত কাজ করে। ব্রণের জন্য নিমপাতা যেভাবে ব্যবহার করবেন। এজন্য প্রথমে লাগবে ফ্রেশ কয়েকটি নিমপাতা। মিমের পাতা যদি না থাকে তাহলে আপনি নিম পাউডার ও ব্যবহার করতে পারবেন। তারপর নিম পাতাগুলো একটি ব্যালেন্ডারে বা শিল।পাটায় বেটে নিতে হবে।
নিম পাতার ভেতরে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিফাঙ্গাল উপাদান। কার সাথে হলুদ ও ব্যবহার করতে পারেন। সবগুলো একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। যেখানে যেখানে ব্রণের সমস্যা আছে বা পুরো ফেসেও ব্যবহার করতে পারেন। খুব ভালোভাবে এপ্লাই করে ৩০ মিনিটের মতো রেখে দিবেন আপনার স্কিনে।
তারপর হালকা হাতে ঘষে নিয়ে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ব্রণের কোন চিহ্ন থাকবে না। বা চাইলে সপ্তাহে ৩ দিনও ব্যবহার করতে পারেন। স্থায়ীভাবে দূর হয়ে যাবে ব্রণ।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতাও কাঁচা হলুদ মুখের জন্য একটি ভালো পেস্ট। নিম পাতায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণ। কাঁচা হলুদ ব্রণের কালো দাগ দূর করে। ত্বক উজ্জ্বলা মসৃণ করে তোলে। কাঁচা হলুদ বয়সের ছাপ কমায়। নিম পাতা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ১০ থেকে ১৫ টা নিমপাতা আর কয়েক টুকরো কাঁচা হলুদ ভালোভাবে ধুয়ে একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপর পেস্টটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে।
শুকিয়ে গেলে নরমাল পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করে। অয়েলি স্ক্রিনের জন্য এটি অনেক ভালো কাজ করে। চোখের নিচে কালো দাগ সরাতে নিম পাতা ও হলুদ অনেক ভালো কাজ করে। নিম পাতা ও হলুদের পেস্ট টি ত্বকের জন্য অনেক ভালো কাজ করে।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
এলার্জির কারণে বুকে থাকেন অনেকেই। এলাচি দূর করতে অনেক ঔষধি খেয়ে থাকেন। এলার্জিকে দূর করতে হলে মেনে চলতে হবে অনেক কিছু বিশেষ নিয়ম। এটা অনেকেই বলে থাকেন। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো মাত্র একটি পাতায় এলার্জি দূর করা যায়। সে পাতাটি হচ্ছে নিমপাতা। নিম পাতা হল বহু উপকারী একটি ওষুধ। যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট এলার্জি নিষ্কাশন করতে ব্যবহৃত করা হয়।
আরো পড়ুন : ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা ও উপকারিতা
নিমপাতা মুখে দেওয়ার জন্য কয়েকটি নিমপাতার গরম পানিতে ভিজিয়ে 5 থেকে 7 মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। এবং কি আপনি পানি দিয়ে নিমের পাতা পিষে পেস্ট বানিয়ে পুরো মুখে লাগাতে পারেন। নিম পাতার গুঁড়ো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এলার্জি হওয়ার মতো খাবার গুলো থেকে একটু দূরে থাকবেন। নিম পাতা দ্বারা খুব সহজেই এলার্জি দূর করা যায়।
মুখে নিম পাতা ব্যবহারের উপকারিতা
নিম পাতা আমাদের ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। মুখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়। ব্রণ চুলকানির মতো হাজারো সমস্যা। মুখের ত্বকের সমস্যার সমাধান নিন নিম পাতার। নিমের মতো এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। জাবরনের সমস্যা কমায় এবং ত্বকের চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। নিমের এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণ বৈশিষ্ট্য নিম পাতা বাটা মাখলে আপনার মুখে বয়সের ছাপ পড়বে না।
নিমের মতো ভিটামিন ইউ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ত্বককে সুন্দর রাখে। নিমপাতা মুখে দিলে আপনি সহজেই মুখে দাগ চাপ দূর করতে পারবেন। নিমপাতা মুখে দিলে হোয়াইটহেডস বা ব্ল্যাকহেডস দূর করতে পারবেন খুব সহজে। নিমপাতা ব্যবহারে মুখে তৈলাক্ত দাগ ও দূর করতে সাহায্য করে। এবং ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে। নিমপাতা মুখের ভেতরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাক্টেরিয়া ও মরা চামড়া গুলো বের করে দিতে সাহায্য করে।
নিম পাতার ক্ষতিকর দিক
নিমপাতা মুখের যত্নে অনেক ভালো কাজ করে। আবার এর অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার ক্ষতির কারণে হয়েও দাঁড়াতে পারে। নিম পাতার ভেতরে থাকা এসিড গুলো আপনার ত্বকের অনেক ক্ষতি করতে পারে। নিম পাতা অতিরিক্ত ব্যবহার করলে আপনার ত্বক ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে। ত্বক ড্রাই হয়ে যেতে পারে। নিম ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবেও কাজ করে।
নিম পাতা ব্যবহারের ফলে ভেতরের কোষ গুলোকে আলাদা আলাদা করে দেয় এবং মৃত কোষগুলোকে বাইরে বের করে দেয়। নিম পাতা বেশি ত্বকে ব্যবহার করলে জন্ডিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সব কিছুই পরিমাণ মতো ব্যবহার করা উচিত। যাতে করে উপকারের বদলে ক্ষতি যেন না হয়। অতিরিক্ত নিম পাতা ব্যবহারের ফলে ভেতরের রশ্মি গুলো দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। আপনার স্কিনে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিম পাতার ফেসপ্যাক
নিম পাতার ফেসপ্যাক ব্যবহারে ত্বক হয়ে উঠবে সুন্দর ও মসৃণ। এবং ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করে দেবে। ফেসপ্যাক টি বানাতে প্রথমে লাগবে এক চামচ নিম পাতা বাটা বা গুঁড়ো তার সাথে দিতে হবে এক চামচ বেসন। চাইলে বেসনের পরিবর্তে চালের গুঁড়াও ব্যবহার করতে পারবেন। বেসন সব ধরনের স্কিনের জন্য ভালো।
বেসন ত্বককে গভীর ভাবে ক্লিন করে। বেসন হারিয়ে যাওয়া ত্বককে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তারপরে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে প্যাকটি তৈরি করে নিতে হবে। মুখটা ভালোভাবে ধুয়ে এটি মুখে ভালোভাবে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের যত্নে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি অনেক ভালো কাজ করে থাকে। আপনাকে আগের থেকে আরো অনেক উজ্জ্বল করে তুলবে। এবং মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করবে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করবে।
অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।
comment url