আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস
আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস জানতে চাচ্ছেন। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ে সমস্ত টিপস গুলো নিয়ে আলোচনা করবো। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি
পড়তে পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন রূপচর্চা কিভাবে করবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস গুলো কি ?
পোস্ট সূচিপত্র : আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস
আধুনিক রূপচর্চা বিষয়ক টিপস
আধুনিক রূপচর্চা বিষয় অনেক টিপস থাকে। রূপচর্চা রূপের সাথে চর্চা কথাটা অন্তঃক্রান্ত ভাবে জড়িত আছে। একটা মানুষ যতই সুন্দর হোক না কেন একটা বয়সে প্রপার কেয়ার না নেয় তাহলে তার জন্মসূত্রে পাওয়া সৌন্দর্যটাও একটা সময় নষ্ট হয়ে যায়। সেজন্য প্রয়োজন রূপচর্চা করাটা।
হাজার হাজার বছর আগে থেকেই রূপচর্চা বিষয়টা চলে আসছে। আধুনিক এ যুগে বিভিন্ন উপায়ে রূপচর্চা করছে মানুষ। আধুনিক সময়ে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে ত্বকের ধরণটা। স্কিন অনেক ধরনের হয়ে থাকে যেমন নরমাল, অয়েলি, ড্রাই এবং তৈলাক্ত। স্কিনে তিনটা জিনিস অত্যন্ত জরুরী।
আরো পড়ুন : ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা ও উপকারিতা
স্কিনকে হাইড্রেট রাখা, প্রটেকশন, ক্লিন। এই তিনটা জিনিস যদি আপনি রেগুলার ন্যাচেলার উপকরণ দিয়ে করেন তাহলে আপনার স্কিন সারা জীবন ভালো থাকবে। সৌন্দর্য শুধুমাত্র আউটার বিউটি নয় ইনার বিউটি। আপনাকে সব কিছু মিলিয়ে একটা ডিসিপ্লিন লাইফ অত্যন্ত প্রয়োজন।
রূপচর্চায় কফির ব্যবহার
রূপচর্চায় কফির ব্যবহার আর কোন তুলনা হয় না।। কফির ফেসপ্যাক একবার ব্যবহার করলে আগের থেকে ত্বক ১০ গুন বেশি উজ্জ্বল সুন্দর ও ঝকঝকে হয়ে যেতে পারে। এটি তৈরি করার জন্য আমাদের সবার প্রথমে লাগবে এক চামচ কফি তারমধ্যে মেশাতে হবে এক চামচ বেসন এবং এক চামচ টক দই। তারপরে এক চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
তার ভেতরে ৬ থেকে ৭ ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এই ফেসপ্যাক টি মুখের সব কালো দাগ তুলে দিতে সাহায্য করে। মুখে দারুন একটা গ্লো নিয়ে আসে। ফেসপ্যাক টি সারা মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। সপ্তাহে একবার এই ফেসিয়াল টা করতে হবে। তারপরে পানি বা ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
রূপচর্চায় বেসন ব্যবহার টিপস
বেসন ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী একটি উপাদান। বেসন ত্বক ফর্সা করার পাশাপাশি ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা দূর করে। বুটের ডাল বা ছোলার ডালের গুড়ই হচ্ছে বেসন। আর এই বেসন যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ত্বকের রং ফর্সা রাখতে যেভাবে বেসন ব্যবহার করবেন।
এক চামচ বেসনের সাথে এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো এবং এক চা চামচ গুঁড়া দুধ আর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপরে সেই পেস্টটি পুরো মুখে লাগান, ৩০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ফেসটাকে ক্লিন করে নিন। এইভাবে এই পেস্টটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগালে ত্বকের রং দ্রুত ফর্সা হবে।
তারপরে ত্বকের তলাক্ত ও কালচে দাগও দূর করতে ভীষণ ব্যবহার করা হয়। এক চামচ বেসনের সাথে দুই চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন। তারপরে সে পেস্টটি পুরো মুখে লাগান ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ফেসটাকে ক্লিন করে নিন। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন। এভাবে ব্যবহার করলে ত্বকের তৈলাক্ত ও কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপায়
রূপচর্চা প্রাকৃতিক উপায়েও করা যায়। প্রথমে তাকে যত্ন নিতে হলে আপনাকে সুস্থ খাবার খেতে হবে এবং আর্লি কমাতে হবে। ভরে হাঁটতে হবে। সূর্যের আলোতে যেতে হবে। ফেসপ্যাক ব্যবহারের আগে গরম পানি দিয়ে মুখটা ভালোভাবে ধুয়ে লাগাতে হবে। কোকোনাট অয়েল এক চামচ, অলিভ অয়েল এক চামচ এবং মধু এক চামচ সবগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে তার ভেতরে চালের গুঁড়া, লেবুর রস, অ্যালোভেরা, গাজর, টমেটো ইত্যাদি সবগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এটি ব্যবহারের পর হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিবেন। এর উপকার হিসেবে পাবেন স্কিন স্কাব হবে। ময়শ্চারাইজার হবে, মরা চামড়া গুলো উঠে যাবে। স্কিনের ব্রাইটনেস দূর হবে। প্রাকৃতিক আরো অনেক উপায় আছে যেগুলো ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল, ঝকঝকে ও জীবাণু মুক্ত থাকবে। রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে পুষ্টিকর খাবার ও সঠিক খাবার খাওয়া ও প্রয়োজনীয়।
রূপচর্চায় লেবু ব্যবহার করার টিপস
রূপচর্চাই লেবু একটি অন্যতম উপাদান। লেবু, পুষ্টিতে ভরপুর এই ফলটি স্বাস্থ্য জন্য যেমন উপকারী রূপচর্চায়ও রয়েছে এর নানা বিদ ব্যবহার। ত্বকের তৈলাক্ত দূর করতে লেবুর রসের ব্যবহার করতে পারেন। এন ডবল চামচ লেবুর রসের সাথে এক চামচ শসার রস মিশিয়ে পুরো মুখে লাগান।
১৫ থেকে ২০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে মুখটাকে ভালোভাবে ক্লিন করে নিন। এভাবে সপ্তাহে তিন দিন লাগালে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে। ব্রণের দাগ দূর করতেও লেবুর রসের ব্যবহার করা হয়। এন ডবল চামচ লেবুর রসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর এটা পুরো মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ক্লিন করে নিন।
এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে মুখের ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে। ত্বকের মেয়ে তো কোষ দূর করতে লেবুর ব্যবহার। একটা লেবুকে মাঝ বরাবর কেটে দুই টুকরো করে নিন। তারপর এর ওপর হাফ চা চামচ চিনি দিয়ে মুখে স্ক্রাব করুন। এভাবে সপ্তাহে একদিন স্কার্ভ করলে ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়ে যাবে।
রূপচর্চায় চন্দন কাঠ ব্যবহারের টিপস
রূপচর্চায় চন্দন কাঠ যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চন্দনের তৈরি বিভিন্ন ধরনের ফেসপ্যাক ত্বকের জটিল সমস্যা সমাধান করে। সেই সাথে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দন কাঠের ব্যবহার : এক টেবিল চামচ চন্দন কাঠের গুড়োর সাথে এক চামচ হলুদ গুলো মিশিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপরে সেই পেস্টটি মুখে লাগান। তার 20 মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে মুখটি ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগান দেখবেন আপনার ত্বক দ্রুত সুন্দর হয়ে উঠছে।
২. শুষ্ক ত্বকে চন্দন কাঠের ব্যবহার : যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক তাদের শুষ্কতা দূর করতে ২ চা চামচ পাকা পেঁপের পেস্ট এর সাথে এক চামচ চন্দন কাঠের গুঁড়ো মিশিয়ে একটা ফেসপ্যাক তৈরি করে নিন। তারপরে পুরো মুখে লাগান ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর মশ্চারাইজার লাগান। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার লাগান তাহলে শুষ্ক ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে।
কাঁচা দুধ ও হলুদের ফেসপ্যাক
কাঁচা দুধ ও হলুদের ফেসপ্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে খুব দ্রুত ত্বক ফর্সা হয়ে ওঠে। ফেসপ্যাক টি বানাতে প্রথমে লাগবে দুই চামচ কাঁচা দুধ ও সামান্য পরিমাণে হলুদ গুঁড়ো। তারপর তার সাথে আধা চামচ বেসন, বেসন ত্বকের সাথে মিশে খুব তাড়াতাড়ি ফর্সা করবে। ত্বকের কালো দাগ গুলোকে তাড়াতাড়ি দূর করে দেবে।
এবার এই উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। কাঁচা দুধ মুখের কালো দাগ ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। তারপর ফেস প্যাকটি ত্বকে এপ্লাই করতে হবে। ম্যাসাজ করতে হবে প্রায় ৩-৫ মিনিটের মতো। খুব ভালোভাবে ম্যাসাজ করা হয়ে গেলে রেখে দিতে হবে প্রায় ১৫ মিনিট।
মিশ্রণটি যখন ত্বকে শুকিয়ে যাবে তখন পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করবেন। তাক আগে থেকে অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে এবং ত্বকে থাকা গ্রহণ কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
রূপচর্চায় কলার খোসার ব্যবহার
রূপচর্চায় কলার খোসার ব্যবহার অন্যতম। যাদের স্কিন পাতলা বা ড্যামেজ হয়ে গেছে এবং যাদের স্কিন জ্বালাপোড়া করে রোধে গেলে তাদের জন্য খুবই ভালো ও কার্যকরী কলার এই ফেসিয়াল প্যাকটি। প্রথমে একটি কলা নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে খোসা গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। কলার খোসা ত্বকের জন্য খুবই কার্যকারী। এটা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে খুবই সাহায্য করে। ছোট ছোট টুকরোগুলো তোকে হালকা করে ম্যাসাজ করতে হবে। পাঁচ মিনিটের মত।
এটা রিপেয়ারের জন্য খুবই কার্যকরী। পাশাপাশি তক ঠান্ডা রাখে এবং ত্বকে যদি হালকা sport থাকে তাহলে সেটি দূর করতে সাহায্য করে। যাদের ত্বক অনেক পাতলা অল্পতে লাল হয়ে যায় বা জ্বালাপোড়া করে এমন সমস্যা যাদের আছে তারা এটা ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকে থাকা কালো দাগ দূর হয়ে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।
অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।
comment url