আদা চা এর অপকারিতা জেনে নিন

আদা চা এর অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে বিস্তারিত এই পোস্টটি আলোচনা করবো। আজকের এই পোস্টটি পড়লে বুঝতে পারবেন আদা চায়ের অপকারিতা কি? এবং কোন চায়ে কি উপকার পাওয়া যায়? আদা চা বানানোর নিয়ম। 

আদা-চা-এর-অপকারিতা

সেই সকল বিষয়ে আপনাদের কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি করতে পারেন তাহলে জানতে পারবেন আদা চায়ের উপকারিতা গুলো কি। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক আদা চা এর অপকারিতা কি ও তৈরি করার নিয়ম।

পোস্ট সূচিপত্র : আদা চা এর অপকারিতা জেনে নিন

আদা চা এর অপকারিতা

আদা চা খাওয়া যেমন ভালো তেমন তার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। আদা চা পুষ্টিগুনে ভরপুর। আদা চা খেলে ব্লাড প্রেসার কমে যায়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেসারের রোগী তাদের আদা চা খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু যাদের ব্লাড প্রেসার লো বা নর্মাল তারা অতিরিক্ত আদা চা খেলে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। প্রতিদিন অধিক মাত্রায় আদা চা খেলে তাদের শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। 

আদার ভেতর আছে অ্যান্টি প্লেটলেট । রসুন বা লবঙ্গ একসাথে করে যদি অনেক পরিমান আদা খাওয়া হয় এজন্য শরীরের রক্ত খননের বাড়তে পারে । এটি রক্তের কণিকা গুলোকে জমাট বাঁধতে দেয় না । অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বমি বমি হতে পারে বা শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা। 

যতটুকু সম্ভব আদা চা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। শরীরে এসিড রিফ্ল্যাক্সের মাত্রা কমিয়ে দেয় এই আদা চা। শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে আধা গেলে তা হাট বা অস্বস্তি হতে পারে আদা চা অন্তরে এসিড উৎপাদনে বাধা দেয়। অতিরিক্ত আদা চা গর্ভপাতের কারণ ও হতে পারে। তাই প্রয়োজন মত আদা চা খাবেন অধিক পরিমাণে কোন কিছুই খাওয়া ঠিক নয়।

আদা চা তৈরির নিয়ম

শরীরকে সতেজ করতে ও মনকে প্রশান্তি দিতে এক কাপ চায়ের জুরি নেই সেটা যে কোন চা হোক না কেন। আদা চা তৈরি করার জন্য একটি হাঁড়িতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি, যতজন খাবেন তত কাপ পানি চুলায় গরম করতে দিতে হবে। তারপর তাতে দিয়ে দিতে হবে কুচি করে রাখা কিছু আদা। চাইলে আদাটা থেতো করেও দিতে পারেন। ভালো গন্ধ সুন্দর হওয়ার জন্য দিতে পারেন দুই তিনটা তেজপাতা। 

তারপর চার থেকে পাঁচ মিনিট খুব ভালোভাবে জাল করে নিতে হবে। যেন আদার রসটা পানির ভেতরে মিশে যায়। আর তেজপাতার ফ্লেভারটাও বের হয়ে আসে। পাঁচ মিনিট জাল করে নেওয়ার পরে এটা দিয়ে দিতে হবে চা পাতা। তিন থেকে চার মিনিট চা পাতা দিয়ে ভালোভাবে জাল করে নিতে হবে। ভালোভাবে জাল না দিলে চা পাতার কাঁচা গন্ধ বের হয়। 

আরো পড়ুন : প্রতি মাসে টাকা বাঁচানোর ১৯ টি উপায়


তারপরে চা গুলো একটি পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এরপরে স্বাদমতো চিনি কাপে দিয়ে চা গুলো পরিবেশন করতে হবে। তাহলেই হয়ে যাবে পারফেক্ট আদা চা। শুধু ঠান্ডা কাশি ছাড়াই না আদার রস শরীরের জন্য বিভিন্নভাবে উপকারি। আদার মধ্যে থাকা এমাইনো এসিড শরীরে রক্ত সঞ্চালন টা ভালো করে। বিভিন্নভাবে এটি শরীরের উপকার করে থাকে। খুব সহজ উপায়ে আদা চা বানিয়ে নিতে পারেন।

‌ আদা ও লেবু চা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা

আদা ও লেবু চা এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কেউ চা খেতে পছন্দ করেন আবার কেউ করেন না। যারা স্বাস্থ্যে সচেতন তারা গ্রিনটি বেশি পছন্দ করে। অনেকে আবার আধা ও লেবু চা খেতে খুব পছন্দ করেন। সর্দি কাশির ক্ষেত্রে আদা চা বেশ উপকারী বলে মনে করা হয়। লেবু ও আদা চা পান করলে বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

এছাড়া এর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন আদাও লেবু চা এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। শারীরিক দুর্বলতা, গর্ভাবস্থায়, কেমোথেরাপি বা চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে বমি বমি ভাব আসে। এক্ষেত্রে আদাও লেবু চা দারুন কাজ করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, বমি বমি ভাব, বদহজম, ডায়রিয়া ও পেটে ব্যথার মতো এসব চিকিৎসার ক্ষেত্রে আদা বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। 

আদা ও লেবু চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আদা জমে থাকা কফ ও রক্ত জমাট বাধার হাত থেকে স্বস্তি দেয়। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আদা ও লেবু চা হার্টের জন্য ভালো। এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। আদাও লেবু চা হজমে সাহায্য করে। লেবুর শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, যে কারণে হজমে সমস্যা হয় না। সর্দি কাশি দূর করে। লেবু ও আদা দুটোই সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে। আদা হলে বুঝা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো কাজ করে থাকে। এজন্য আপনি আদা ও লেবু চা খেতে পারেন।

চা পানে কি ত্বক কালো হয়

চা পান করলে ত্বক কালো হয়ে যায় এমন একটি ধারনা আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে আবার অনেকে এর বিরোধিতা করেছেন। তবে প্রশ্ন হলো চা পানে কি ত্বক আসলেই কালো হয়? এ ব্যাপারে নিচে আলোচনা করবো। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানি হলো চা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ গরম চা না হলে অনেকের চলেই না। 

আদা-চা-এর-অপকারিতা

অনেকের কাছে আবার চাপান নেশার মতো। তবে চা পান নিয়ে অনেকটা স্বাস্থ্য ও রূপ সচেতন অনেকটা আতঙ্ক লক্ষ্য করা যায়। কারন আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে চা পানে ত্বক কালো হয়ে যায়। ত্বকের রং নির্ধারণ করে আমাদের শরীরে থাকা মেলানিন নামের এক ধরনের রংযোগ। আর যেসব ত্বকে খুব বেশি পরিমাণে মেলানিন থাকে সেই সব ত্বককে বলা হয় হাইপার পিগমেন্টড ত্বক। 

আর তোকে যদি একদমই মেলানিন না থাকে তাহলে ওই ত্বককে বলা হয় ডিপিগমেন্টেড হাইপার। হাইপার পিগমেন্টেড হলে অর্থাৎ ত্বকে মোলানিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকলে সেই ত্বক কালো হয়। অবশ্য মেলানিন ছাড়াও আরো বেশ কিছু বাহ্যেক কারণে ত্বকের রং কালো হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে দূষণ, সরাসরি সূর্যের আলো সংস্পর্শ হরমোন জনিত কারণ অথবা কোন রোগ। 

একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বলা হয় চা এর এমন কোন উপাদান নেই যা ত্বকে মেলানিন এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাই চা পানে ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার দাবিটি আসলে প্রচলিত ভুল ধারণা যা দীর্ঘদিন এটি প্রচলন হয়ে আসছে। বেশি পানি পান করলে ১০ থেকে ১৫ কাপ চা পান করে তাহলে পানির শূন্যতার কারণে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এতে তোকে সাধারণ উজ্জ্বলতা কমে যেতে পারে। যা থেকে যে কেউ তৎকাল হয়ে গেছে বলে ভুল ধারণাটি করতে পারে।

রং চা এর উপকারিতা

রং চা এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। সাধারণত চা খেতে সবাই পছন্দ করে। রং চা এর থেকে দুধ চা মনে হয় বেশি পছন্দ করে। সাধারণত দেখা যায় চা এ এক ধরনের ক্লাবন নামক কেটেজিন এক ধরনের উপাদান রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল এগুলো রয়েছে। চা এর ভেতরে যদি দুধ মিশিয়ে খান তাহলে এই সব উপাদানগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। শুধু সাধারণ জন্যই চা খাওয়া হবে। 

এর জন্য ভালো রং চা। রং চা যদি আপনি খান রং চা এ দেখা যায় অনেকগুলো শারীরিক উপকারিতা হবে। রংটা আপনার বিরাট কোলেস্টার কমাতে সাহায্য করে। আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। তার পাশাপাশি আমাদের যে টায়ার্ডনেস বা উইকনেস যে একটা ভাব এটা কিন্তু রং চা এর মাধ্যমে চলে আসে। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা দিনের ভেতর দুইবার স্বাভাবিকভাবে রং চা খেতে পারেন এছাড়াও রঙ চায় আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে।

১. জরায়ু, স্তন, পাকস্থলী এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

২. কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম করে।

৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। 

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। 

৫. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে। 

৬. আর মজবুত রাখে। 

৭. হৃদপিণ্ড ভালো রাখে।

৮. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। 

৯. মাইগ্রেনের যন্ত্রণাকে কমায়। 

১০. রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।

লেখকের মন্তব্য

আদা চা এর অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের সাথে অনেক কথা বললাম। কমবেশি প্রায় মানুষেরই চা অনেক পছন্দের। যা দ্বিতীয় পানি হিসেবে ধরা হয়। চা খাওয়া যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়েছে। সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করেছি। এবং কোন জায়গায় কি উপকার কিভাবে বানাবেন সেইসব সম্পর্কে বলেছি। সকল বিষয়ে আপনাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি।আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।

comment url