ছেলেদের সকালের খাবার কেমন হওয়া উচিত জেনে নিন
ছেলেদের সকালের খাবার কেমন হওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা ছেলেদের সকালের খাবার কেমন হওয়া উচিত, কোন খাবারে পুষ্টি বেশি, কতখানি খাওয়া উচিত, সঠিক সময় তার, পুষ্টিগুণ
সবকিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়তে থাকুন তাহলে সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। এবং সঠিক নিয়ম মেনে খেলে অবশ্যই উপকার পাবেন। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্র : ছেলেদের সকাল এর খাবার কেমন হওয়া উচিত
ছেলেদের সকালের খাবার
ছেলেদের সকালের খাবারের ভেতরে এমন অনেক খাবার আছে যা শরীরের জন্য অনেক উপকারি। সকালে উঠেই যদি আপনি খালি পেটে লেবু ও মধু মেশানো পানি খেতে পারেন অনেক উপকার পাবেন। অনেকেরই লেবুতে গ্যাস্টিক হতে পারে। তারা শুধু মধু মিশিয়ে পানি খেতে পারেন তাতেও অনেক উপকার পাবেন। তাছাড়া এগুলো খেতে পারেন।
১. ফল : কলা, আপেল, কমলা, আঙ্গুর, ইত্যাদি। এমন ধরনের ফলমূল অথবা মৌসুমী ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সবচেয়ে ভালো।
২. ওটস : ওটস জিনিসটা খেতে ভালো না লাগলেও এটি আমাদের দেহের জন্য অনেক ভালো একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটস এর জুড়ি নেই। তাই সকালের খাবারে ওটস রাখতে পারেন।
৩. ডিম : ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল। সকালের খাবারে অবশ্যই প্রতোকের ডিম খাওয়া উচিত।
৪. দই : দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকর একটি খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। তাই সকালের খাবারের দই ও রাখতে পারেন।
৫. খিচুড়ি : ভাতের বদলে সকালের খাবারের রাখতে পারেন সবজি খিচুড়ি। চালের পরিমাণ কমিয়ে সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে খিচুড়ি খান।
সকালে এই সকল খাবার গুলো আপনি খেতে পারেন। সকালের খাবার হিসেবে বেশ উপকারি এই খাবারগুলো।
ছেলেদের সকালের খাবারের পরিমাণ
ছেলেদের সকালের খাবারের পরিমাণ রয়েছে। যেটি পরিমাণের কম ও খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় আবার বেশি খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। পরিমাণ অনুযায়ী সকালে খাবার খাওয়া উচিত। যেমন একটা সিদ্ধ ডিম এক গ্লাস দুধ কয়েকটি কিসমিস কিছু বাদাম সাথে লাল আটা দুই থেকে তিনটা রুটি বা সবজি খিচুড়ি খেতে পারেন। ডিম কে কোলিনের খুব ভালো উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।
আরো পড়ুন : প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার উপকারিতা জানুন
যা মস্তিষ্ক এবং লিভারের জন্য খুবই উপকারি। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খেলে শরীর স্বাস্থ্য ও ভালো থাকে। অনেক রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। তবে সকালের খাওয়ার টা একটু বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। কারণ সারা রাত না খেয়ে থেকে সকালে একটু বেশি পরিমাণে খেলে সারাদিন কাজকর্ম ভালো হয়। আবার একটু পরে খিদা ও লাগেনা। মন দিয়ে কাজ করা যায়।
দেখা গেল হঠাৎ কাজের জন্য দূরে কোথাও যেতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আপনি সকালে একটু বেশি পরিমাণে খেয়ে নিলেন আপনার ক্ষুধা লাগবে না। তাই সকালের খাবার পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। এবং স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো খাওয়া উচিত যেগুলো আমাদের শরীরের কোন ক্ষতি করবে না।
ছেলেদের সকালের খাবারের সঠিক সময়
ছেলেদের সকালের খাবারের সঠিক সময় মেনে চললে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ৭ টা থেকে ৮ টার ভেতরে সকালের খাবার খেয়ে নিতে হবে। সঠিক সময়ের খাবার সঠিক সময় না খেলে ফলের বিপরীত হয়ে যেতে পারে। সারা রাত যেহেতু খাওয়া হয় না তাই চেষ্টা করবেন সকালের খাবারটা একটু আগে এবং দুপুর ও রাতে থেকে একটু বেশি খাওয়ার।
কারণ সারাদিন অনেক ক্লান্তির ভিতরে কাটে তেমন খাওয়ার সময় পাওয়া যায় না। সকালে সঠিক সময় খেলে সারাদিন আর আমি নিশ্চিন্তায় কাজ করা যায়। সঠিক সময় না খেলে শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সারাদিন কাজে অমনোযোগী কাজে ভালো মন আসবে না। সময়মতো না খেলে পরবর্তী সময়ে আর খেতে ভালো ও লাগে না।
তাই সকলের উচিত সঠিক সময়ের খাবার বিশেষ করে সকালের খাবারটা সঠিক সময় নিয়ম করে খাওয়া। সঠিক সময়ে না খেলে গ্যাস্টিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব ইত্যাদির মত সমস্যা। তাই সকালের খাবারটা সকলে সঠিক সময়ের মতো খাবার চেষ্টা করবেন।
ছেলেদের সকালের খাবারের পুষ্টিগুণ
ছেলেদের সকালের খাবারে অনেক পুষ্টি থাকে। যা শরীরের জন্য বেশ ভালো কাজ করে। সকালের খাবারের ডিম খাওয়া অনেক উপকারি। ডিম দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়। ডিম খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। সিদ্ধ ডিম খেলে অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমে। ডিম ব্রেনের পাওয়ার বৃদ্ধি করে। সকালে নিয়মিত ভেজানো কিসমিস খেলে ক্যান্সারে ঝুঁকি কমে এবং রক্তশূন্যতা দূর করে।
অথবা প্রতিদিন সকালে কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে প্রচুর আয়রন ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা দেহের জন্য অনেক উপকারি। সকালের খাবারের টক দই খেলে নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। টক দই পুষ্টির ভান্ডার। এতে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন বি ১২, বি ২, পটাশিয়াম ম্যাগনেসিয়ামের মত প্রজননীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
এই পোস্টগুলি সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। সকালের খাবারে কিসমিস খেলে কিসমিস হার্ট ও লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ সকল খাবারের রয়েছে পুষ্টিগুণে ভরপুর যা শরীর ভালো রাখতে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সকল পুষ্টিগুলো পেতে সকালের খাবারে এই সকল খাবার গুলো আপনি রাখতে পারেন।
সকালে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ক্ষতিকর দিক
সকালবেলা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। আমাদের সব সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ডায়রিয়া, বদহজম, বমি বমি ভাব, বুক জ্বালাপোড়া, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, পেটে ব্যথা বা মাথার যন্ত্রণা পর্যন্ত হতে পারে।
যাদের হৃদরোগ বা কিডনির সমস্যা আছে তাদের সকালে অতিরিক্ত খাওয়াতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই সঠিক নিয়মে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া উচিত। সকালে অতিরিক্ত খাবার আমাদের পাকস্থলীর আকার বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত খাবার খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ঠিক নাই।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ঠিক নয় না ঘুম না খাওয়া কোন কিছুই নয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক ধরনের ক্ষতিও হয়ে থাকে। অতিরিক্ত খাবার যেন আমাদের ক্ষতির দিকে না নিয়ে যেতে পারে তা খেয়াল রাখতে হবে। এবং চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে।
লেখকের মন্তব্য
ছেলেদের সকালের খাবার কেমন হওয়া উচিত এই সম্পর্কে আপনাদের সাথে অনেক কথা বললাম। নিয়ম গুলো মেনে সঠিক সময়ে খেলে আপনার উপকার মিলবে। তাই আগে নিয়মগুলো জানুন সময় গুলো জানান কোনটা ভালো কোনটা খারাপ জেনে তারপরে খান। আশা করছি এই পোস্টটিতে আমি ভালোভাবে বোঝাতে পেরেছি। পোস্টটি পড়ে আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন। এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো নিয়মিত পড়বেন।
অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।
comment url