সুস্বাস্থ্য অর্জনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি। মানব দেহের জন্য সুস্থ থাকা প্রয়োজন। আর সেই সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না।

সুস্বাস্থ্য-অর্জনে-পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

থাকলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু সংক্রমণ বেড়ে যাবে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয়া যাক সুস্বাস্থ্য অর্জনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কিভাবে থাকবেন।

পোস্ট সূচিপত্র : সুস্বাস্থ্য অর্জনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

সুস্বাস্থ্য অর্জনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ভূমিকা

আমরা সবাই জানি যে স্বাস্থ্যেই সকল সুখের মূল। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা এবং স্বাস্থ্যরক্ষার নিয়ম কানুন মেনে চলা সুস্থ থাকার প্রধান উপায়। পরিবেশের বায়ু, মাটি ও পানিতে বসবাস করছে অসংখ্য রোগ জীবাণু। রোগ জীবাণু যেন আমাদের সহজে আক্রমণ করতে না পারে তার জন্য আমাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। সুন্দর জীবন যাপন ও সুস্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশের খুবই প্রয়োজন। 

আমাদের স্বাস্থ্যের উপর পরিবেশের প্রভাব সর্বাধিক। আপনার মাথা থেকে পা পর্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। নিয়মিত ভালোভাবে সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করতে হবে। শরীরের যত্ন নিতে হবে। তবেই সুস্বাস্থ্য অর্জন করা সম্ভব। বেঁচে থাকার জন্য সুস্বাস্থ্য অনেক প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কখনোই ভালোভাবে সুস্থ থাকা যাবে না। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার মাধ্যমেই সুস্বাস্থ্য অর্জন করা যায়।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কি

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বলতে আমাদের স্বাস্থ্যর সবদিক থেকে ভালো রাখা পরিষ্কার রাখা জীবাণু মুক্ত রাখা। মানব জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ স্বাস্থ্য, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে সেই শ্রেষ্ঠ সম্পদ লাভ করা যায়। প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই হাতমুখ পরিষ্কারভাবে দোয়ার মাধ্যমে শুরু হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস।

আরো পড়ুন : বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির উপকারিতা 


নিয়মিত গোসল করা ও শরীরকে পরিষ্কার রাখা এবং ধুলোবালি থেকে রক্ষা করতে পারলে তাবেই সুস্বাস্থ্য অর্জন করা যায়। বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে হাত পা ধোয়া পরিছন্নতার অন্যতম অভ্যাস। নিয়মিত জামা কাপড় পরিষ্কার রাখতে হবে। আশেপাশের পরিবেশের যে দূষণ তাতেও রোগ জীবাণুর সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপকারিতা

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থেকেই নিজেকে সুস্থ রাখা যায়। আপনি যদি আপনার মাথার চুল পরিষ্কার রাখেন তাহলে আপনি চুল পড়া, চুলের আগা ফাটা, খুশকির মত নানা সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন। ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখের ভেতরে সারাদিন চার থেকে পাঁচ বার ঝাপটা দিন। চোখে কিছু পড়লে আগে চোখে হাত না দিয়ে পরিষ্কার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। রোদে বের হলে অবশ্যই চোখে সানগ্লাস দিয়ে বের হবেন যাতে আপনার চোখ ধুলোবালি থেকে সুরক্ষিত থাকে। 

সারাদিনে দুইবার ব্রাশ করুন যাতে আপনার মুখের ভেতরে থাকা জীবাণুগুলো খুব সহজে পরিষ্কার হয়ে যায়। এভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখুন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে কোন ক্ষতিকর জীবাণু আপনাকে ধ্বংস করতে পারবে না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা থাকলে আপনার কোন অসুখ বিসুখ হবেনা।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার উপায়

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হলে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার অন্যতম উপায়গুলো হলো:

১. ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা : ব্যক্তিগত পরিছন্নতা বলতে নিজেকে পরিষ্কার রাখা। যেমন কান, হাতের নখ, চুল, চোখ ইত্যাদি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। এই সকল জিনিস কে পরিষ্কার রাখতে হবে নিয়মিত যত্ন নিলে তবেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা সম্ভব।

২. খাদ্য ও পানীয় : দেহ ও মন সুস্থ ও সবল রাখতে হলে কেবল সুষম ও পরিমিত খাদ্যদ্রব্য যথেষ্ট নয়, প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানীয় প্রয়োজন। গোসলের সময় পরিষ্কার পানি ব্যবহার করা, খাওয়ার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পানি খাওয়া ইত্যাদি।

৩. পোশাক পরিচ্ছন্নতা : পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করতে হবে। অপরিচ্ছন্ন পোশাক থেকে বিভিন্ন রকম চর্মরোগ দেখা দেয়।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে কি হয়

যদি আপনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকেন তাহলে আপনার বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু দেখা দিতে পারে। আর যখনই আপনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবেন তখন আপনার পচনতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করতে থাকবে। খাবার ঠিকঠাক মতো হজম হবে। আগের তুলনায় বেশি শক্তি অনুভব করার সাথে সাথে স্ক্রিন পরিষ্কার হতে শুরু করবে। 

মুখ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখার কারণে পিম্পল, দাগ,একনে এর মত বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। এবং বহু জোটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘাম হওয়ার মাধ্যমে আপনার শরীরের নোংরা গুলোকে বের করে দেয়। এর ফলে আপনার শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। সকল রোগ জীবাণু থেকে এবং বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। তাই সকলের উচিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।

লেখকের মন্তব্য

সুস্বাস্থ্য অর্জনে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন কিভাবে এই সকল বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে অনেক কথা বললাম। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং সুস্থ রাখতে অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। আগে জানুন কিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন। তারপরে নিজেকে পরিবর্তন করুন। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হবেন। এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের পোস্ট গুলো নিয়মিত পড়বেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অল টপিক আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। মেনে কমেন্ট করুন।

comment url